চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার উত্তর লুধুয়া গ্রামের বিধবা আরোজা বেগমের ২টি বসত ঘড় ও একটি রান্নাঘর পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি মৃত আল-আমিন প্রধানের স্ত্রী। তার তিন ছেলে শরীফ, আরিফ ও সজীব।
০৯ ডিসেম্বর শুক্রবার আনুমানিক সন্ধা ৬টায় এ ঘঠনা ঘটে।
আরোজা বেগমের পুত্র বধু রতনা বেগম জানান, আমি পাশের ঘরেই ছিলাম, হঠাৎ শব্দ শুনে ঘড় থেকে বের হয়ে দেখি পাশের ঘড়ে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। তাৎক্ষণিকভাবে ডাক চিৎকার দিলে আশেপাশের লোক জন এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা করে এতে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে । পড়ে ফায়ারসার্ভিস এর একটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু নিয়ন্ত্রণের আগেই আগুনের লেলিহান শিখায় ঘড়ে থাকা সকল আসবাবপত্রসহ সব পুরে ছাই হয়ে যায়।
আরোজা বেগম বলেন, আমার স্বামী নাই ১৭ বছর হলো, ছেলে – মেয়েদের নিয়ে খুব কষ্টে জীবন- যাবন করছি। এরই মধ্যে আমার এক ছেলেকে ঋন নিয়ে প্রবাসে পাঠাই, কিন্তু দালাল চক্র এখনো তাকে কোনো কাজ দিতে পারেনি, উলটো ১,৫০,০০০ টাকা দাবি করে। ছেলেকে বাচাতে এনজিও থেকে গতকালই ঋন করে ১,৫০,০০০ টাকা এনে ঘড়ে রাখি কিন্তু আগুনে ঐ টাকা গুলোও পুরে গেছে। এখন আমার ছেলের কি হবে, বেঁচে ফিরবে কিনা তাও জানিনা। আরও দুই ছেলে পড়ালেখার পাশাপাশি, রাজমিস্ত্রী, কৃষি কাজ করে সংসার চালায়। ছোট ছেলে কয়েকদিন আগে ৫,০০০টাকার বই কিনে এনেছিলো। সেগুলোও এখন ছাই, সাথে পুড়ে গেছে স্কুলসনদও । ঘরের যায়গাটুকুও বিক্রি করে ফেলেছি। আমার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে, সন্তানদের নিয়ে আমি কোথায় মাথা গোজাবো সেটিও জানিনা ।
আরিফের প্রতিবেশী অলিউল্লাহ প্রধান জানান, পরিবারটি নিতান্তই অসহায়। এরই মধ্যে আগুন কেড়ে নিয়েছে সকলকিছু। এমন অবস্থায় সরকার ও সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে ছেলে-সন্তান নিয়ে বাঁচতে পারবে বিধবা আরোজা বেগম।
মতলব দক্ষিণ ফায়ারসার্ভিস স্টেশন অফিসার আসাদ জানান, আগুনের খবর পেয়ে একটি ইউনিট নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ১ ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। ভুক্তভোগী পরিবার জানিয়েছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটেছে।