মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) এর প্রতিষ্ঠাতা সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেছেন, “১৯৪০ সালে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবে মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল নিয়ে একাধিক স্বায়ত্তশাসিত রাষ্ট্র গঠনের কথা বলেন। কিন্তু তৎকালীন কিছু সুবিধাবাদী পশ্চিমা পাকিস্তানী নেতারা বিভিন্ন কৌশলে বাংলাদেশের ভূখণ্ডকে পূর্ব পাকিস্তান বানিয়ে অভিন্ন রাষ্ট্র গঠন করে ১৯৪৭ সালে। পাকিস্তান আন্দোলনে এই বাংলার মানুষ ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীসহ তৎকালীন বাঙালি নেতারা অপরিসীম আত্নত্যাগ করেছিলেন। অথচ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ ২৪ বছর বাঙালিদের ওপর জুলুম করেছে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী। অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিকভাবে শোষিত জনগণ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করে ১৯৭১ সালে। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল বৈষম্যহীন, সাম্যের বাংলাদেশ গড়ে তোলা। যেখানে ধনী-গরিবের, শাসক-শাসিতের মাঝে দূরত্ব থাকবে না।”
তিনি আরো বলেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিফলনের লক্ষ্যেই আমাদের কাজ করতে হবে। জাতি-বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষে মানুষে ভাতৃত্ব গড়ে তুলে জাতীয় ঐক্যের মঞ্চে একত্র হতে হবে। জাতীয় সংকটগুলো একসাথে মোকাবেলা করতে হবে। দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, মুদ্রা পাচারকারী, ঋণখেলাপীদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধের প্রাচীর নির্মাণ করতে হবে। সকল নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার সংরক্ষণ করতে হবে। সকলের সম্পদের মাঝে ভারসাম্য নিয়ে আসতে হবে। তবেই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য অর্জনের স্বপ্ন, স্পৃহা বাস্তবে রূপ নেবে।”
১৬ই নভেম্বর, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ) ও ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম উদযাপন উপলক্ষ্যে চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণের নায়েরগাঁও ইউনিয়নের মাসুন্ডায় আয়োজিত মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আলোচনা করেন।
মইনীয়া জাতীয় গণমাধ্যম ফোরামের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক খলিফা শাহ মোঃ কামরুজ্জামান হারুন এর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম মিয়াজী।
অতিথি ও আলোচক ছিলেন,পীরজাদা মুফতি বাকি বিল্লাহ আল আযহারী, মাওঃ এইচ এম মাকসুদুর রহমান, মাওঃ কেরামত আলী, মাওঃ মনসুর আলী প্রমুখ।