গোলাম নবী খোকনঃ চাঁদপুরের অবিভক্ত মতলব, বর্তমান মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী মেহারন দালাল বাড়ি।
যেখানে মেম্বার হতে অন্য গ্রামের জন সাধারণের ভোট লাগে না, দালাল বাড়ির জন সাধারণের ভোট প্রয়োগের মাধ্যমেই একজন মেম্বার বানানো সম্ভব হয়। ঐ গ্রামে ১০ হাজার জন সাধারণের মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন থেকে চারহাজার ভোটার, বিভিন্ন স্থানে ভোটার হওয়ার কারনে বর্তমানে ভোটার কমে সংখ্যায় প্রায় ২২ শত। এখানে রয়েছে ৫ জন শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা পরিচালিত একটি মেহারন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৭০ জন। রয়েছে মেহারন জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়, শিক্ষার্থী সংখ্যা ৯০ জন, ৬ জন শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা পরিচালিত হয়।
আর ছাত্র ছাত্রীদের বেতন দিয়েই চলে শিক্ষক মন্ডলী গন। উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাধব চন্দ্র দাস বলেন, বিদ্যালয়টি ছিল খুবই জরাজীর্ণ, একটি প্রবাসী উন্নয়ন সংঘের ৮ লক্ষ টাকা সাহায্য সহযোগিতা করায় উচ্চ বিদ্যালয়টি মেরামত করে পরিচালনা করে থাকি।
২০০০ সাল থেকে জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয় শুরু করে এখনো অবধি আমরা সরকারের কোন সহযোগিতা ছাড়াই এগিয়ে আসছি। এসএসসি পরীক্ষা আছল ছিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাধ্যমে দিয়ে থাকি। এ ছাড়া রয়েছে ৪ টি বড় মন্দির, ১) জগন্নাথ মন্দির, ২) গ্রীদারী মন্দির, ৩)রাধা কৃষ্ণ মন্দির ও ৪) যোগল কিশোর মন্দির। রয়েছে দুটি শ্বশান খোলা, ১) জগন্নাথ দাস সার্বজনিন মহা শ্মশান ও ২) মেহারন বড় বাড়ি রাস মনি শ্মশান। মেহারন দালাল বাড়ির জন সাধারণের আয়ের উৎস কি? জানতে চাইলে ঐ এলাকার প্রহল্লাদ চন্দ্র দাস বলেল, ৭০% ৮০% লোকই জেলে পেশার সাথে সম্পৃক্ত। আর বাকীরা বিভিন্ন পেশায় ব্যবসা পরিচালনা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
তিনি দুঃখের সহিত বলেন, কে শুনে কার কথা, আমরা মাছ আর পানির সাথে যুদ্ধ করে কোন রকম দিনাতিপাত করে থাকি, কিন্তু আমাদের বাড়ির সামনে দুটি রাস্তা, একটি কাজিয়ারার সাথে সংযোগ, এ রাস্তার মেহারন দালাল বাড়ির সামনে এত বেহাল দশা যে, যান বাহন চলাচল তো দূরের কথা, মানুষ পায়ে হেটে আসতেই অনেক কষ্ট কর। রাস্তা টি হেরিং বোন, সাবেক দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রী জননেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম করে দিয়েছেন, এটা বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরছে।
মেহারন দালাল বাড়ি হতে নারায়ণপুর, মতলব বাজার তথা নায়েরগাঁও বাজার যেতে সংযোগ সড়ক একটি মাত্র। অসুস্থ রোগী,বয়স্ক লোক ও গর্ববতি মায়েদের চলাচলে দূর্ভোগ পোহাতে হয় চরমে। মেহারন দালাল বাড়ি হইতে চারট ভাঙ্গা কাচা রাস্তা। মেহারন থেকে কাঁচা রাস্তা শুরু হওয়ার এক দুই শত ফিট দূরত্ত্ব খালের উপর একটি ব্রীজ। এ ব্রীজ দিয়ে যান বাহন চলাচল করবে তো দূরের কথা মানুষ পায়ে হেটে চলাচল করতেই হীম সিম খেতে হয়।
এলাকায় পরিদর্শন করে দেখা যায় যেন এটি একটি সিট মহল। মেহারন দালাল বাড়িতে পায়ে হেটে ছাড়া ভারী যান বাহন, প্রাইভেট কার, মাইক্রো বাস, এ্যাম্ভুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী বাড়িতে আসার কোন সম্ভাবনাই নেই। যদিও আসে মোটরসাইকেল ও রিক্সা। তাও বিপদজনক। মেহারন দালাল বাড়ির জন সাধারণের লাগব দূর করতে হলে প্রয়োজন রাস্তা টি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার কাজ। ঐতিহ্য বাহী মেহারন দালাল বাড়ির দুটি রাস্তা সংস্কার করিতে মাননীয় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড.শামসুল আলম মোহন, চাঁদপুর -২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাড, নুরুল আমিন রুহুল এমপি, মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন মেহারন দালাল বাড়ির জন সাধারণ।